আজ জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক।

প্রতি বছরের মতো এবারও তার নিজ জেলা নেত্রকোনায় ড. হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণ দিবসে ‘স্মরণ কথন’ আয়োজন করেছে হিমু পাঠক আড্ডা। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের ছাদে সকালে সাড়ে ১০টায় কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে।

পরে ১১টায় লেখকের জীবনী নিয়ে আলোকপাত করবেন বক্তারা। অন্যদিকে লেখকের জন্মভিটা মোহনগঞ্জ উপজেলার শেখ বাড়ি নানার বাড়িতে মিলাদ ও কোরআনখানি তেলাওয়াত এবং পৈতৃক ভিটা কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে মিলাদ, কোরআনখানি তেলাওয়াত এবং শোক র‌্যালি হবে। হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক।

তাকে বলা হয় আধুনিক বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের পথিকৃৎ। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। বাংলা সাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। তার বেশকিছু গ্রন্থ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বেশকিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম কাজল। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি।